শুক্রবার (২৯ জুন) একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, উত্তর কোরিয়া ট্রাম্পের বৈঠক থেকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান করছে।
এর আগে ১২ জুন ট্রাম্প-কিম বৈঠকের পর ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেন, পারমাণবিক ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া আর হুমকি নয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি কয়েক মাসে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য উত্তর কোরিয়া ইউরোনিয়াম বানানো বাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও রক্ষা করছে।
তারা গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, উত্তর কোরিয়ার একাধিক গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে। ইয়ংবিয়নে তাদের পারমাণবিক উৎপাদন সুবিধাও রয়েছে।
তারা বলেন, প্রমাণ সাপেক্ষে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে- উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গোয়েন্দা তথ্যের এ প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বৈঠক থেকে গৃহীত সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের সম্মুখীন করলো এখন।
এদিকে, পূর্ব এশিয়া ননপ্রলিফিকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক জেফরি লুইস বলেছেন, অনেকদিন থেকে এটা বোঝাই যাচ্ছিল ইয়ংবিয়নে উত্তর কোরিয়ার একটি অঘোষিত পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সেখানে একটির বেশি পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে। তার মানে সেখানে কমপক্ষে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া কিছু কেন্দ্র উন্মুক্ত করেছে। বাকি কেন্দ্রগুলো এখনও তারা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এর আগে ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়। এ নিয়ে তারা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরও করে। তবে সেখানে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ নেই।
চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনভিত্তিক উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ প্রজেক্ট ‘৩৮ নর্থ’ স্যাটেলাইট ছবি প্রদর্শন করে জানায়, উত্তর কোরিয়া ৬ মে থেকে ইয়ংবনে পরমাণু বিষয়ে কাজের দ্রুত অগ্রগতি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
এএইচ/টিএ