ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গুহায় আটকা পড়া শিশুরা ‘সুস্থ’ আছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৮
গুহায় আটকা পড়া শিশুরা ‘সুস্থ’ আছে ভিডিওতে গুহায় আটকে পড়া শিশুরা

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া শিশুরা সুস্থ আছে। উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা নতুন একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে গুহায় আটকে পড়া খুদে ফুটবলাররা হাসিমুখে জানিয়েছে, তারা ভালো আছে।

ভিডিওটি দেশটির নৌবাহিনীর ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে।

**গুহায় আরও মাসখানেক থাকতে হতে পারে খুদে ফুটবলারদের
**থাইল্যান্ডে নিখোঁজ ফুটবল দলের সন্ধান, সবাই জীবিত
সোমবার (২ জুলাই) কোচসহ নিখোঁজ ১২ ফুটবলারের সন্ধান পাওয়া যায়।

গত ২৩ জুন তারা তাদের বার্ষিক ভ্রমণ ও ফিল্ড ট্রিপের জন্য বেরিয়েছিলো। তাদের মধ্যে ১২ জন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী সদস্যটির বয়স ১১ বছর।  

নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা তাদের জন্য অধীর হয়ে গুহার বাইরে অপেক্ষা করছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, খুদে ফুটবলাররা প্রত্যেকে ক্যামেরার সামনে প্রথমে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অভিবাদন জানিয়েছে। এরপর প্রত্যেকে তাদের নাম জানিয়ে বলেছে, তারা সুস্থ আছে।  

ভিডিওতে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিশুরা কম্বল জড়িয়ে বসে আছে। তাদের সঙ্গে একজন ডুবুরিকেও হাসিমুখে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে ভিডিওতে তাদের কোচকে দেখা যায়নি।  

ভিডিওটি দেখার পর গুহায় আটকে পড়া এক শিশুর মা বলেন, ছেলের মুখ দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে। ও যে ভালো আছে তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।  

সোমবার রাতে ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল ফুটবল দলটির সন্ধান পায়। তাদের সন্ধানের পর থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর বিশেষ ফোর্স একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে আপলোড করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টর্চলাইটের আলোতে ফুটবল দলের সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। তারা পানির উপরে কর্দমাক্ত উঁচু জায়গায় বসে ডুবুরিদের সঙ্গে কথা বলছে।

এদিকে উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের দ্রুত উদ্ধার করা হবে। এজন্য তারা তিনটি উপায়ের কথা বলছেন। তাদের প্রত্যেককে ডুবসাঁতার শিখতে হবে অন্যথায় বন্যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাস গুহার ভেতর থাকতে হবে। এসময় তাদের খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। অথবা উদ্ধারকারীরা গুহা থেকে বের হওয়ার পথ কেটে সেদিক দিয়ে শিশুদের বের করবে।  

থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহা প্রত্যেক বছর বর্ষায় ভেসে যায়। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এর স্থায়িত্ব থাকে। উদ্ধারকারী সদস্যদের মতে, গুহায় আটকা পড়া বাচ্চাদের এর আগে বের করতে হলে, অবশ্যই ডুবসাঁতার শিখতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, কর্দমাক্ত, অদৃশ্যমান গুহাটির ভেতর থেকে অভিজ্ঞতাশূন্য কিশোরদের ডুবসাঁতার দিয়ে বেরিয়ে আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে। কৃত্রিম উপায়ে পানির স্তর কমিয়ে নিয়ে আসাও খুব সফল কিছু হবে না।

তারা বলছেন, স্বাভাবিক নিয়মে পানির স্তর হ্রাস হওয়ার জন্য আরও চার মাস সময় লাগবে। এজন্য তাদের ধারাবাহিকভাবে খাদ্যসহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে হবে।

তবে উদ্ধারকারীরা অভয় দিয়ে বলছেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। যেভাবেই হোক শিশুদের নিরাপদে গুহা থেকে উদ্ধার করা হবে।  

থাই নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের প্রধান রিয়ার এডমিরাল এপাগর্ন ইয়োকোগি জানান, আমরা ভেতরে খাবার, পানি ও ভিটামিন দিচ্ছি। ডুবুরি দলের সঙ্গে ডাক্তার ও নার্স রয়েছেন। আমরা তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। আমরা শিশুদের নিরাপদে উদ্ধার করতে চাই।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
আরআর  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।