দেশটির নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুহায় অক্সিজেনের লেভেল ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে, স্বাভাবিকভাবে যা ২১ শতাংশ প্রয়োজন। এতে শিশুরা হুমকির মুখে রয়েছে।
গত ২৩ জুন ১১ থেকে ১৬ বছরের ১১ জন ক্ষুদে ফুটবলার তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচসহ হারিয়ে যায়। তারা তাদের বার্ষিক ভ্রমণ ও ফিল্ড ট্রিপের জন্য বের হয়েছিল। ২ জুলাই দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল কোচসহ নিখোঁজ ১২ ফুটবলারের সন্ধান পায়।
বন্যার পানির কারণে গুহার অনেক স্থান ডুবে রয়েছে, এতে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে অক্সিজেন দিতে গিয়ে প্রাণ গেছে এক ডুবুরির। ফেরার পথে ট্যাংকে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
এমন অবস্থায় ক্ষুদে ফুটবলারদের উদ্ধার করতে যে কোনো ধরনের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড। স্থানীয় গভর্নর বলছেন, অক্সিজেন এখন প্রধান ইস্যু।
যদিও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা যেখানে আছে সেখানে সব ঠিকঠাক রয়েছে। শিশুরা সেখানে এক সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, খেলাধুলাও করছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে ও আবহাওয়া খারাপ হলে বিকল্প চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর ।
আটকে পড়া শিশুদের বাবা-মায়েরা সেখানে উদ্ধারকারীদের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন, কিন্তু তারা পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অক্টোবর নাগাদ মৌসুমী বৃষ্টি না যাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার কঠিন হবে। সপ্তাহজুড়ে বেশি বৃষ্টিপাতের মধ্যেই গভর্নর বলছেন, ঝুঁকি বেশি হলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। উদ্ধার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সেখানে অক্সিজেন পাঠানো এবং শিশুদের সঙ্গ দেওয়া। গুহার টানেলের মধ্য দিয়ে সাঁতারে যাওয়া কঠিন, শিশুদের সাঁতার শেখানো হচ্ছে, কিন্তু তারা এখনও প্রস্তুত নয়।
আটকে পড়া ১২ জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত একশ’রও বেশি স্থানে গর্ত করে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই