সরকারের পক্ষে ৩২৫ জন সংসদ সদস্য (এমপি) আস্থা প্রকাশ করেন। আর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট পড়েছে ১২৬ টি।
শুক্রবার (২০ জুলাই) দিনগত রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা সংসদের অধিবেশনের পর লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন কণ্ঠভোটের আহ্বান জানান।
সেই ভোটাভুটিতে জয় হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) সরকারের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকারের এই জয় প্রত্যাশিত-ই ছিলো। তবে বিরোধীরা কতটা জোটবদ্ধ তা বুঝে নেওয়ারও পরীক্ষা ছিলো এই অনাস্থা প্রস্তাব। বিরোধী শক্তি যে এখনো মোদীর বিপক্ষে ‘মজবুত’ হতে পারেনি মোটামুটি এটাই যেনো স্পষ্ট হলো এতে।
এদিকে কণ্ঠভোটে লোকসভার ৪৫১ জন এমপি অংশ নিলেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন শিবসেনা, টিআরএস ও বিজেডির এমপিরা।
অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও সরকার প্রধানের সমালোচনায় মেতে ওঠেন বিরোধীদলের এমপিরা।
আরো পড়ুন>>
**বক্তব্যে তুলোধুনোর পর মোদীকে আলিঙ্গন রাহুলের
ফ্রান্সের সঙ্গে রাফালে চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নারীর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় মোদী সরকার ব্যর্থ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংসদে বক্তব্যের সময় একে অপরকে কোনো অংশেই ছাড় দেননি কেউ-ই। তবে আলোচনা শেষে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করমর্দন ও জড়িয়ে ধরে সবার নজর কেড়েছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো।
পরে সভাকক্ষে বসে চোখ মারার বিষয়টিও ছিল দিনভর আলোচনার খোরাক।
তবে এসব বিষয় যে হালকাভাবে নেননি মোদী-তা উঠে এসেছে তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, আজ পুরো দেশ টিভিতে দেখেছে চোখের কী অবস্থা? কিভাবে খোলা হচ্ছে আর কিভাবে বন্ধ করা হচ্ছে।
এ সময় সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়নের ফিরস্তিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তার ভাষণে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা মল্লিজার্জুন খড়গ বলেন, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ড্রামাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের সমস্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা পায়নি মানুষ।
তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির এমপি রবিশংকর প্রসাদ বলেন, সরকারের ওপর দেশের জনগণের আস্থা বেড়েছে। লোকসভার ভোটাভুটিই তার প্রমাণ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এমএ/