অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী কার্লোস পোভেদা রুশ সংবাদমাধ্যমকে এসব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দু’টি চিঠি পাঠিয়েছি।
এর আগে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহারের সংবাদ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, লন্ডনের দূতাবাস থেকে যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে অ্যাসাঞ্জকে। এমনকি অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারেরও আভাস দেওয়া হয়।
এদিকে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো ‘গ্লোবাল ডিসএবিলিটিস’ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য লন্ডন সফর করছেন। এছাড়া স্পেনের সঙ্গে দেশটির বন্ধন দৃঢ় করতে মাদ্রিদেও সফর করবেন তিনি।
সোমবার (২৩ জুলাই) ইকুয়েডরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যাপারে কোনো আলোচনা করবেন না।
তবে লেনিন মরেনোর লন্ডন ও স্পেন সফরকে কেন্দ্র করে আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, স্পেনের সঙ্গে ইকুয়েডরের সম্পর্কে এক রকম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কেননা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে অ্যাসাঞ্জের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ স্পেন। টুইট বার্তায় অ্যাসাঞ্জ কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে মাদ্রিদের সমালোচনা করেছিলেন।
তিন মাসেরও বেশি সময় আগে ইকুয়েডর সরকার অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে অ্যাসাঞ্জ বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিশ্লেষকদের ধারণা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে অ্যাসাঞ্জের বক্তব্যের কারণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইকুয়েডর।
২০১২ সাল থেকে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপনের পর এ দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি।
১৯৭১ সালের ৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার যিনি উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গোপন ‘নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এএইচ/টিএ