যদিও পুরোপুরিভাবে এখনও নির্মাণ শেষ হয়নি, তারপরও কিছুদিনের মধ্যেই বিমানবন্দরটি তুরস্কের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বিশ্বের বৃহত্তম পোর্টটি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে নির্মাণ করা সুবিশাল ওই ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরটি ধীরে ধীরে তুরস্ককে ভ্রমণ কেন্দ্রে রূপান্তর করবে। সঙ্গে বিশ্বে বিমান ঘাঁটির মূল কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এটি।
বলা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে ৭৬.৫ মিলিয়ন বর্গ মিটার আয়তনের ওই বিমানবন্দরটির কাজ। আর এটি পুরো নির্মাণ শেষ হলে সুবিশাল আকার ও বেশ সুদৃশ্যতা ধারণ করবে।
আরও পড়ুন>>> এ মাসেই চালু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর
এখন অল্প ফ্লাইট উড়বে এখান থেকে। সম্পূর্ণভাবে ফ্লাইট চালু হলে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ বা তার চেয়ে বেশি যাত্রী যাবেন এ বিমানবন্দর হয়ে। এছাড়া প্রথম দিকে বছরে ৯০ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করবে পোর্টটি। পরে ২০২৯ সালের দিকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন যাত্রীর ভ্রমণ নিশ্চয়তা দেবে এটি। ছয়টি রানওয়ে দিয়ে প্রতিদিন দুই হাজার ফ্লাইট উড্ডয়ন করবে এখান থেকে।
সোমবার তুরস্কের ৯৫তম স্বাধীনতা দিবস ছিল। এ উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আংশিক কাজ বাকি থাকার পরও বিমানবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় প্রেসিডেন্ট পোর্টটিকে শুধু ‘ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর’ নাম ঘোষণা দেন।
এ বছরের শেষের দিকে তুর্কির বর্তমান প্রধান বিমানবন্দর ‘আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে প্লেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর আস্তে আস্তে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর হবে দেশের অ্যাভিয়েশনের প্রধান কেন্দ্র।
এদিকে, বিমানবন্দরটির সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রেললাইনসহ রাস্তাঘাট নির্মাণ করছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
টিএ