মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের একটি আর্টিকেলে তিনি লিখেছেন, আমরা জানি, সাংবাদিক খাশোগি হত্যার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এসেছিল।
কিন্তু সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্ককের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের দিকে চাপ দিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যে, খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার (০২ নভেম্বর) মার্কিন দুই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, খাশোগি ‘বিপজ্জনক ইসলামপন্থী’ ছিলেন বলে হত্যার পরই যুক্তরাষ্ট্রকে ফোনে জানিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান।
এক মাস আগে ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক।
এদিকে, তুরস্কের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছিলেন, সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করা মাত্রই খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
তার মরদেহের একটি টুকরো কনস্যুলেটের ভেতরেই পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তুরস্কের এক রাজনীতিবিদ। যদিও খাশোগির মরদেহের কোনো হদিস এখনও মেলেনি।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেম সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
টিএ