তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের যৌক্তিক শেষ হতে পারে একটাই। যারা তাকে হত্যা করেছেন, তারা তার মরদেহটি একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>> ‘খাশোগি হত্যায় সৌদি সরকার সরাসরি জড়িত’
তিনি বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলার কারণে সহজে এটি খোঁজে পাবো না। কিন্তু এখন আমরা দেখছি, তার মরদেহটি শুধুই টুকরো করা হয়নি, অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে একেবারে নির্মূলও করে দেওয়া হয়েছে।
হত্যা তদন্তে মরদেহের খোঁজ পেলে ফরেনসিক বা ময়নাতদন্ত করলে কিছু একটা বেরিয়ে আসতো।
এক মাস আগে ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক।
এদিকে, তুরস্কের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছিলেন, সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করা মাত্রই খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
তার মরদেহের একটি টুকরো কনস্যুলেটের ভেতরেই পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তুরস্কের এক রাজনীতিবিদ। যদিও খাশোগির মরদেহের কোনো হদিস এখনও মেলেনি।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
টিএ