আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমবারের মত মার্কিন ফার্স্ট লেডি আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন। ওই সময় কাটিয়েছিলেন মিশরের হোটেল ‘ ইন্টারকন্টিনেন্টাল সেমিরামিস কায়রোতে ’।
হোটেলটির ওয়েবসাইট অনুসারে, সাধারণত ওই হোটেলে ১ দিনের জন্য রুম ভাড়া শুরু ১১৯ ডলার থেকে। আর প্রেসিডেন্টসিয়াল স্যুটের জন্য গুনতে হয় ৬৯৯ ডলার।
ট্রাম্পের মুখপাত্র জানিয়েছে, মেলানিয়া ৬ ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন কাইরোতে। এমনকি তিনি ওই হোটেলে রাতযাপনও করেননি।
তা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউজকে গুণতে হয়েছিল ৭৩ হাজার পাউন্ড।
ব্যয় সংক্রান্ত মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ৬ ঘণ্টার জন্য হোয়াইট হাউজকে প্রায় ৯৫ হাজার ডলার (৭৩ হাজার পাউন্ড) খরচ মেটাতে হয়েছে। খরচের হিসাবে ব্যয়ের ধরণকে ‘Flotus visit hotel rooms’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫ তারকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলটি অতিথিদের ৭২৬টি কক্ষ স্বগত জানিয়েছে। প্রতিটি কক্ষের জন্য ছিল অত্যাধুনিকি সুযোগ-সুবিধাসহ বিনোদনের সব ব্যবস্থা।
ওবামা প্রশাসনের সময় মার্কিন ফার্স্ট লেডির জন্য ১৬ জন কর্মকর্তা কাজ করতো। তাদের জন্য বছরে ব্যয় ছিল ১.২৪ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের ফার্স্ট লেডির জন্য কাজ করেন মাত্র ৪ জন। তাদের পেছনে বছরে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ ডলার।
চলতি বছের অক্টোবরের শুরুতে আফ্রিকা সফরে ছিলেন ট্রাম্প-পত্নী।
আফ্রিকা সফরে ‘উপনৈবেশিক’ টুপি বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেলানিয়া। কেনিয়ায় শিকার অভিযানে তিনি ১৯ শতকের পিথ হ্যাটের আদলে বানানো একটি টুপি পরে বিতর্কে পড়েছেন। ওই টুপির সঙ্গে উপনৈবেশিক নিপীড়নের সম্পর্ক তুলে ধরে তার সমালোচনা করা হয়েছিল।
সেই বিতর্কে ধামাচাপা দিতে না দিতে তাহলে কি মেলানিয়া ট্রাম্প ১ দিনে ৭২ হাজার পাউন্ডের হোটেল বিল দিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছেন?
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এপি/এসএইচ