৮১ শতাংশ ভোটের মধ্যে রাজ্যটির স্বাধীনতার বিপক্ষে (না ভোট) ভোট পড়ে ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পায় স্বাধীনতা।
রোববার (০৪ নভেম্বর) রাজ্যের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনের পর কিছু অস্থিরতা দেখা দেয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, নিউ ক্যালিডোনিয়ার রাজধানীতে একটি দোকানে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া কয়েক রাস্তাও তারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করে স্থানীয় হাই কমিশনারের কার্যালয়।
এদিকে, গণভোটের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, এই গণভোটের মাধ্যমে ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের ওপর আস্থা দেখিয়েছেন নিউ ক্যালিডোনিয়ার মানুষ।
তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, অবশেষে আমরা একসঙ্গে ঐতিহাসিক একটি পদক্ষেপে সফল হয়েছি।
এর আগে গত মে মাসে নিউ ক্যালিডোনিয়ার রাজধানীতে সফরকালে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, নিউ ক্যালিডোনিয়া ছাড়া ফ্রান্স হবে কম সুন্দর।
নিউ ক্যালিডোনিয়া রাজ্যের স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি গণভোটে না ভোটের জয় হলেও আরও দু’টি পর্ব রয়ে গেছে নির্বাচনের। যা হতে পারে ২০২২ সালের মধ্যে।
নিউ ক্যালিডোনিয়া রাজ্যটিতে নিকেল ধাতু রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এবং এটিকে একটি কৌশলগত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে দেখে ফ্রান্স।
১৮৫৩ সালে ফান্স প্রথম এই অঞ্চলটিকে তাদের উপনিবেশ হিসেবে দাবি করে। আর ১৯৮০ সালের দিকে ফরাসি বাহিনী ও কানাকের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কানাক হলো নিউ ক্যালিডোনিয়ার আদিবাসী। তারা নিউ ক্যালডোনিয়ার মোট ভোটারের ৩৯ দশমিক এক শতাংশ।
১৯৮৮ সালে ফ্রান্স এবং এই অঞ্চলের স্বাধীনতা দাবি করা প্রতিনিধিরা সহিংসতা শেষ করতে সম্মত হন এবং সেই আলোচনায় গণভোটের এই বিষয়টি রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
টিএ