কোম্পানিটির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বোয়িং তাদের নতুন লঞ্চ করা ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স’ সিরিজের প্লেন ব্যবহারে এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এ সতর্কবার্তায় কোম্পানিটি বলতে যাচ্ছে যে, ওই সিরিজের প্লেন ত্রুটির কারণে ‘আকস্মিকভাবে বিধ্বস্ত’ হতে পারে।
লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইট বিধ্বস্তের পর এর তদন্ত করে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করেই মূলত এ সতর্কতা দেবে বোয়িং। এর আগে লায়ন এয়ার কর্তৃপক্ষ তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বলেছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও তারা সে ত্রুটি সমাধান করেই ফ্লাইট উড্ডয়নের কথা বলে আসছে।
এদিকে, ওই প্লেনের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা ব্ল্যাক বক্সও একই রকম তথ্য দিয়ে বলছে, ওই প্লেনটিতে শেষ চার ফ্লাইট ধরে ত্রুটি ছিল। যেটি ধীরে ধীরে বড় আকারের ত্রুটি হয়েছিল।
২৯ অক্টোবর ১৮৯ আরোহী নিয়ে জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর আগে জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি নিখোঁজ হয়।
ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। যা মাত্র এক ঘণ্টা পরই ৭টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।
প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
টিএ