হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৌরভ বরকাকোতি জানান, ১ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে হাসপাতালের ‘নবজাতক বিশেষ পরিচর্যা’ ইউনিটে ওই ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে চিকিৎসায় অবহেলা বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেন সুপারনিটেনডেন্ট।
তিনি আরো বলেন, কখনো কখনো হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়, এতে নবজাতক মৃত্যুও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিষয়টি নির্ভর করে ঠিক কোন অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। হয়তো জটিলতা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো কিংবা বাচ্চার ওজন কম ছিলো।
রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এটিকে ক্লিনিক থেকে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রূপান্তর করে; যাতে রয়েছে সব ধরনের সুবিধা। তবে অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনেক নবজাতকের চাপ নিতে হয় বলেও জানান সৌরভ বরকাকোতি।
এরইমধ্যে ঘটনা তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বাস শর্মা জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাত্র ৬ দিনে ১৫ নবজাতকের মৃত্যুর কারণ কী, তা খুঁজে বের করবে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
জেডএস