ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অভিযান সমাপ্ত বিধ্বস্ত ‘লায়ন’র, খোঁজ মেলেনি ১১০ যাত্রীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
অভিযান সমাপ্ত বিধ্বস্ত ‘লায়ন’র, খোঁজ মেলেনি ১১০ যাত্রীর উদ্ধার অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত সেই ইন্দোনেশীয় লায়ন এয়াররে জেটি-৬১০ ফ্লাইটের যাত্রীদের মরদেহ খোঁজের অভিযান সমাপ্ত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্লেনটির দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধারে অনুসন্ধান চলবে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে।

ব্যাপক তৎপরতার পর শনিবার (১০ নভেম্বর) এর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়া। যদিও এখনও প্লেনটির ১১০ যাত্রী নিখোঁজই রয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, লায়ন এয়ারের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার অভিযান প্রায় দুই সপ্তাহ পর শনিবার বন্ধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্লেনের একটি ব্ল্যাক বক্সসহ ইঞ্জিন, চাকা, বেশ আসন, প্রায় ১৯৬টি ব্যাগ এবং নানা ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন ইন্দোনেশীয় উদ্ধারকারীরা। এছাড়া তারা প্রায় ৭৯টি মরদেহ উদ্ধার শেষে সেগুলো শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছেন বলেও জানা যায়।

দেশটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা বাসারনাসের প্রধান মোহাম্মদ সাইয়গি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে। কোথাও বাকি নেই। এরপর আবার গতকাল বিকেল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো মরদেহ বা অন্যকিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই এ অনুসন্ধান অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করছি।

আরও পড়ুন>> বিধ্বস্তের সময় ‘লায়ন’র ইঞ্জিন চালুই ছিল

তিনি বলেন, আমরা জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বিশেষ করে ক্ষমা চাইবো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে, যাদের স্বজনদের মরদেহ আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা তাদের অভিযান চালিয়েও সন্তুষ্ট করতে পারিনি।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ২৯ অক্টোবর ১৮৯ আরোহী নিয়ে জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর আগে দেশের রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি নিখোঁজ হয়।

ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে ২৯ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। যা মাত্র এক ঘণ্টা পরই ৭টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।

প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ যে ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন, তাদের সবাই মারা গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।