যুক্তরাজ্যের বেসরকারি এ সংস্থাটি মিয়ানমার নেত্রীর এ উদাসীনতাকে ‘লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যা দিয়ে তাদেরই দেওয়া সম্মাননা ‘কেড়ে’ নিয়েছে।
১৯৯১ সালে নোবেল জয়ের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেওয়া পুরস্কারটিই ছিল সুচির সর্বশেষ বড় সম্মাননা।
২০০৯ সালে অং সান সুচিকে ‘অ্যাম্বাসেডর অফ কনশেন্স’ বা ‘বিবেকের দূত’ অখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ সম্মাননার পুরস্কার দিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সুচির অহিংস আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি এ পুরস্কার দেয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কুমি নাইদো অং সান সুচিকে দেওয়া একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, আজ আমরা খুব হতাশ। আমরা আপনার কাছে আশাহত হয়েছি, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নীরবতার কারণে। আপনি সাহস, মানবাধিকার রক্ষার প্রতীককে ধরে রাখতে পারেননি। এর প্রতিনিধিত্বও আপনি করতে পারেননি।
কুমি নাইদো আরও বলেন, আপনার অব্যাহত অব্যবস্থাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মেনে নিতে পারে না। আমাদের অ্যাম্বাসেডর অফ কনশেন্স সম্মাননার প্রাপক হিসেবে আপনাকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না। তাই আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আপনাকে দেওয়া পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রোববার (১১ নভেম্বর) ৭৩ বছর বয়সী অং সান সুচিকে তার পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি জানানো হয়। তবে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানানি এখনও।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
টিএ