আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, নিজের সব হারিয়ে মামারিনের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মিললেও সেখানে মিলছে না খাবার। নিজের ছয় বছরের ফুটফুটে মেয়ে আকিলাকে খেতে দিতে না পেরে অবশেষে বাধ্য হয়ে বিক্রি করেছেন তিন হাজার ডলারে।
এদিকে নাজমুদ্দিন নিজের ১০ বছরের ছেলের সঙ্গে আকিলার বিয়ে দেবেন বলেও মামারিনকে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ নিয়ে মামারিন বলেন, খরায় আমার তিন সন্তানকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি। ভেবেছিলাম কিছু সহযোগিতা পাবো। কিন্তু আমি এখানে এসে কিছু পাইনি। আমার সন্তানদের ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমি ৬ বছরের মেয়েকে তিন হাজার ডলারে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে ৩ হাজার ডলারে বিক্রি হলেও এখনও মাত্র ৭০ ডলার হাতে পেয়েছি। কোনো অর্থ নেই, কোনো খাবার নেই, টাকা উপার্জন করার কেউ নেই। আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ প্রচণ্ড খরায় নিজের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। এমন মানবিক সংকটে আগে কখনও পড়েনি দেশটি।
চার বছর ধরে কম বৃষ্টিপাতের কারণে এ অঞ্চলের আবাদ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া কৃষি জমির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেশটির ওপর মারাত্মক আকারে পড়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া দশক ধরে চলে আসা যুদ্ধের কারণে কৃষির পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতি ও সমাজ জীবনেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এপি/আরআর