বুধবার (২৮ নভেম্বর) দেশের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি কেএনকেটি’র তদন্তকারীরা বলছেন, প্লেনটি ওড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তাই জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি স্থগিত রাখা উচিত ছিল।
২৯ অক্টোবর ১৮৯ আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই লায়ন এয়ারের এ প্লেনটি জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট, ছয় কেবিন ক্রুসহ যারা ছিলেন, তারা সবাই মারা যান।
দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে ওইদিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল ওই প্লেন। এর মাত্র ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। আর এ নিয়ে তদন্তকারীরা বলছেন, প্লেনটিতে বড় ত্রুটি ছিল বলেই মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই প্রাথমিক রিপোর্ট এও বলছে, যে ফ্লাইটে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে, এর আগের ফ্লাইটেও এতে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। সেসময় ভাগ্যক্রমে সেটি সফল অবতরণ করতে পারে।
বুধবার দেশটির কেএনকেটি’র প্রধান নুরচাহিও উতোমো জানিয়েছেন, ২৯ অক্টোবরের আগের দিন অন্য একটি ফ্লাইটে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল ওই প্লেনে। কিন্তু সে সময় এতে কিছু না হলেও পরের দিন ঠিকই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
তিনি বলেন, আগের দিন ফ্লাইট উড্ডয়ন অবস্থায় প্লেনটির এন্টি-স্টল সিস্টেম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন পাইলট গন্তব্যে পৌঁছার আগেই এটি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর তা করতে হয়নি। তবে আমাদের মতে, পরের দিন ওই প্লেনটি উড্ডয়নের জন্য উপযোগী ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
টিএ