আর বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ যদি শেষ হয়, তাহলে আরব আমিরাত এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে যাবে। যা ২০২২ সালের মধ্যেই বাস্তবায়ন হওয়ারও কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় উপদেষ্টা ব্যুরো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরামর্শদাতা আবদুল্লাহ আলশেহী।
তিনি দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে আরব আমিরাত এবং ভারতের মধ্যে একান্ত আলোচনার সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ এই টানেল নির্মাণ শেষ হলে ফুজাইরা থেকে মুম্বাইয় পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে। এতে করে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। সেইসঙ্গে সহজলভ্য পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবদুল্লাহ আলশেহী বলেন, এটি একটি ধারণা। আমরা পরিকল্পনা করছি মুম্বাই শহরটিকে পানির নিচ দিয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের মাধ্যমে ফুজাইরার কাছে টেনে আনতে। আশা করছি শিগগিরই দুই দেশের এ দুই শহরের মধ্যকার একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে দুই দেশের বাণিজ্যের উন্নতির লক্ষ্যে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ফুজাইরা বন্দর থেকে ভারতে তেল রফতানি করা হবে। এছাড়া উত্তর মুম্বাইয়ের নর্মদা নদী থেকে অতিরিক্ত বিশুদ্ধ পানি আমদানি করবে আরব আমিরাত। সেইসঙ্গে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রফতানিও উন্নত হবে আশা করছেন তিনি।
এদিকে, শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতই যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই উন্নত প্রকল্প হাতে নেয়নি, চীনও এতে এগিয়ে যাচ্ছে অনেক। এশিয়ার এ দেশটি সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ট্রেনের মাধ্যমে রাশিয়া, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংযুক্ত করতে টানেল বানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
টিএ