মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী বহুলপ্রাচারিত এ ম্যাগাজিনটি খাশোগিসহ সাহসী একদল সাংবাদিকের নাম ঘোষণা করে। পরে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে, যারা সত্য ঘটনা অনুসন্ধানে ঝুঁকি নিয়েছেন, তার মধ্য থেকে ২০১৮ সালের পারসন অব দ্য ইয়ার করা হবে।
টাইমের ঘোষণা করা এসব সাংবাদিকের দলটিকে ‘দ্য গার্ডিয়ানস’ এবং ‘সত্যের জন্য যুদ্ধ’ নামে পরিচিত করা হয়েছে।
এ দলে চলতি বছরের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যার শিকার জামাল খাশোগি ছাড়াও রয়েছেন- বিশ্ববিখ্যাত আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্ব ঠিকিয়েছেন এবং সেজন্য কারাবরণ ও নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন।
তারা হলেন- ফিলিপাইনের নামকরা নারী সাংবাদিক মারিয়া রেসা, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কারাগারে থাকা সংবাদ সংস্থা রয়র্টাসের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সো, গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্যাপিটাল গ্যাজেটের নিউজরুমে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত পাঁচ স্টাফ।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে হত্যার শিকার হন সাংবাদিক খাশোগি।
এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমদিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও অবশেষে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘মারামারি’ করে নিহত হন এ সাংবাদিক।
সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব দেশটির রাজধানী রিয়াদে সংবাদ সম্মেলনে খাশোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরে টুকরো টুকরো করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
সেসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খাশোগির শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। পরে টুকরো করা দেহ কনস্যুলেটের বাইরে এক এজেন্টকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান জড়িত বলে দাবি করছে তুরস্ক। তবে বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে সৌদি।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন সৌদি বাদশাহ-যুবরাজসহ দেশটির রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
আমেরিকায় বসবাসরত খাশোগি বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত লিখতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
টিএ