বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব সূচকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল লাল-সবুজের এই দেশ।
একাত্তরে বাংলাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালায় পাকিস্তানি সেনারা। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের ২৩ বছর শোষণের অবসান ঘটে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ।
আর এতেই ঈর্ষান্বিত বাংলাদেশ শোষণ করা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সদ্য মসনদে বসা ইমরান খান।
চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নতির সঙ্গে নিজ দেশের অর্থনীতির তুলনা করে আক্ষেপ করতে শোনা যায় তাকে।
সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) যখন আলাদা হয়ে বাংলাদেশ হয় তখন আমাদের অনেকে বলেছিলেন, তারা (পূর্ব পাকিস্তান) আমাদের জন্য বড় মাপের বোঝা ছিলো। নিজের কানেই আমি এসব শুনেছি। ’
‘সেই পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) আজ সবকিছুতেই এগিয়ে গেছে। তাদের দূরদর্শী চিন্তার জন্যই এমনটা হয়েছে। ’
দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে শোষণ-নিপীড়নে নিষ্পেষিত করতে চেয়েছিল যে পাকিস্তান, এখন অনেক কিছুতে তার চেয়ে এগিয়ে আছে দেশটি।
গত ৪৬ বছরের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ এখন পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ ১ হাজার ৫৩৮ ডলার। সেখানে পাকিস্তানের তা ১ হাজার ৪৭০ ডলার। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশকে অনুকরণীয় হিসেবে ধরে পাকিস্তানের উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাতে ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির বিভিন্ন পেশাজীবীরাও।
তাদেরই একজন সাংবাদিক জাইঘাম খান। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি, মানবিক উন্নয়ন সূচক, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন—ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানি এই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশই হওয়া উচিত পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল। আমার মতে পাকিস্তানের সামনে শেখার জন্য উদাহারণ হিসেবে যে কয়েকটি দেশ আছে, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএ/