বুধবার (০৯ জানুয়ারি) শূরা কাউন্সিলের অধিবেশনে সিদ্ধান্তটির অনুমোদন করেন স্পিকার আবদুল্লাহ আলে শেইখ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলের সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন পেয়ে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করার আইন অনুমোদন করেন স্পিকার আলে শেইখ।
অধিবেশনে বোর্ডের ৭৯ জন সদস্য বাল্যবিয়ের নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং মোট ১০৩ জন সদস্য ১৮ বছরের কম বয়সীদের বিয়ে অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইন প্রকাশে সম্মত হন।
সৌদি শূরা কাউন্সিলের অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ দুইটি নতুন নিয়ম হলো-
১. ১৮ বছরের কম বয়সী পুরুষ বা নারীর বিয়ের চুক্তি নির্দিষ্ট আদালতের কাছে অথবা বিধি-বিধান অনুযায়ী আদালতের সমকক্ষ ব্যক্তির কাছে সীমাবদ্ধ থাকবে।
২. ১৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ বা নারীর বিয়ে চুক্তি নিষিদ্ধ।
জানা গেছে, কাউন্সিলের নারী সদস্যরা ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের নিষেধাজ্ঞা এবং ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে চারটি শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করার আইন চেয়ে আবেদন করেন। তাদের উত্থাপিত চারটি শর্ত ছিল-
১. মেয়ে ও তার মায়ের সম্মতি, ২. নির্ধারিত ও উপযুক্ত কমিটির কাছ থেকে একটি মেডিকেল রিপোর্ট গ্রহণ করতে হবে, (যাতে তার শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সামর্থের কথা উল্লেখ থাকবে), ৩. স্বামীয় বয়স মেয়ের বয়সের দ্বিগুণ হতে পারবে না ও ৪. বিবাহ চুক্তিটি এই শর্তাধীন আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচারকের মাধ্যমে সংঘটিত হওয়া।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ১৮ বছরের কম বয়সী নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে আইন অনুমোদন করে শূরা কর্তৃপক্ষ।
এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর শূরা কাউন্সিলের সদস্য লতিফা আল-শালান আনন্দ প্রকাশ করে টুইটে বলেন, এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। তবে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো এতোটা সহজ ছিল না।
মূলত অল্প বয়সী মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক উপযুক্ততা না হওয়ায় সৌদিতে স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীদের ঝামেলা তৈরি হচ্ছিল। সেটাকে কাটিয়ে তুলতেই শূরা কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে জানা গেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম থেকে।
বাংলাদেশসময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএমইউ/টিএ