গত মে মাসে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। এ মাসের শুরুতে শপথ নেন বামপন্থি এ রাজনীতিক।
সম্প্রতি দেশটির অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা দেখা দিলে রাস্তায় নামে বিরোধীরা। গত সপ্তাহে জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দিতে থাকেন। এরপর তিনি নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ বলেও ঘোষণা দিয়ে বসেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে গুইদোকে ‘স্বীকৃতি’ দিয়ে মাদুরো সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ফ্রান্স সরাসরি এখনো গুইদোকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’র স্বীকৃতি না দিলেও তারা বলেছে, আট দিনের মধ্যে মাদুরোকে নতুন নির্বাচন ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় বিরোধীদেরই ‘স্বীকৃতি’ দেবে তাদের সরকার।
অবশ্য বিক্ষোভ চললেও সামরিক বাহিনী মাদুরোর পেছনেই তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি ভেনেজুয়েলার ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোনো প্রস্তাব তুলতে চাইলেও তাতে রাশিয়া ভেটো দেবে বলে আশাবাদী কারাকাস।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এইচএ/