বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেইসঙ্গে আবহাওয়া খারাপ বলে সতর্কতাও জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) থেকে উপসাগরীয় এ দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ধূলিঝড় শুরু হয়। আর এই পানি জমে রিয়াদের প্রধান প্রধান সড়ক তলিয়ে যায়। বিঘ্ন ঘটে মানুষের চলাফেরায়ও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার এবং সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সৌদির উত্তরাঞ্চলীয় এবং পশ্চিমাংশে প্রবল বর্ষণ হয়। তখন মরভূমির বালি উড়ে আকাশচুম্বী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাতে এক রকম অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো অঞ্চল।
মরভূমির দেশে আকস্মিক বন্যার কারণে তাবুক, আরার ও আল-জাওয়াফে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও হচ্ছে মাঝে মাঝে।
দেশটির সিভিল ডেফেন্সের মুখপাত্র মুহাম্মদ মেজর আল হাম্মাদি জানিয়েছেন, রিয়াদ, মক্কা, উত্তর সীমান্ত অঞ্চল, হাইল, তাবুক, কাশিম, মদিন, পূ্র্ব প্রদেশ, আসির, জাজান এবং আল-জাওয়াফ বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে। এসব অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী ঝুঁকি নিরসনের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন উপত্যকা এবং বিপজ্জনক এলাকাগুলোতে তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তাবুকের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতোমধ্যেই ৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুবা থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব হতে পারে বলে যাত্রীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইট বাতিলেরও আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
টিএ