মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনই বলছেন, ভেনেজুয়েলাতে সংকট মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞাসহ সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। সমাধান হয়নি।
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের জাতীয় প্রোগ্রামে ভেনেজুয়েলা সংকটের এ সময়ে আমেরিকান বাহিনী ‘ব্যবহার’ করা হবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ভালো, আমি এটা বলতে চাই না। কিন্তু অবশ্যই এটা এমন কিছু, যা মোকাবিলা করতে হলে বিকল্প ব্যবস্থা দরকার।
২০১৮ সালের মে মাসে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন মাদুরো। এরপর থেকে বিরোধীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্ভোটের দাবি জানিয়ে আসছেন। এছাড়া সম্প্রতি দেশটির অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা দেখা দিলে রাস্তায় নেমে পড়েন বিরোধীরা। ভেনেজুয়েলা জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট গুয়াইদো এ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ বলেও ঘোষণা দিয়ে বসেন গুয়াইদো। এরপর গুয়াইদোকে ‘স্বীকৃতি’ দিয়ে মাদুরোকে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ডাকতে আলটিমেটাম দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যার মেয়াদ ছিল রোববার পর্যন্ত।
এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বলেন, কয়েক মাস আগে মাদুরো আমার সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি।
‘আমি সে সময় বৈঠক করতে না করেছিলাম কারণ ভেনেজুয়েলাতে আসলেই অনেক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। ’
এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে গুয়াইদোকে উদ্যমী এবং ভদ্রলোক বলে প্রশংসা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প এও বলেন, আপনারা যদি গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাহলে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের অবস্থান নেওয়াটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক কাজ। আমি মনে করি নিঃশেষিত হওয়ার একটা প্রক্রিয়া চলছে। এটা অনেক বড় এবং অসাধারণ একটি প্রতিবাদ।
আরও পড়ুন>> পাল্টাপাল্টি সমাবেশে অচল ভেনেজুয়েলার রাজপথ
এদিকে, ইউরোপিয়ান চার বড় শক্তি- ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেন রোববার রাতে ‘গুয়াইদোকে’ স্বীকৃতি দিয়ে মাদুরোকে আল্টিমেটাম দিয়েছে যে, যতোক্ষণ না মাদুরো দেশে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডাক দেবন, ততোক্ষণ ‘গুয়াইদোই বৈধ’।
ট্রাম্প ভেনেজুয়েলাকে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছিলেন। তার প্রশাসন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে ভেনেজুয়েলা সংকট মোকাবিলার। কিন্তু এখন এর জন্য বিকল্প কিছু ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
টিএ