তিনি বলেছেন, কিছু মানুষ আছে, যারা বয়স্কদের দোষ দিচ্ছে। আসলে এটা ঠিক না, ভুল।
মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৭৮ বছর বয়সী তারো আসো এ মন্তব্য করেন।
তারো আসো দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন। এর আগে এক বক্তব্যে তিনি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য বয়স্কদের দায়ী করার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
কিন্তু বাজেট অধিবেশনের সময় এক বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যের সমালোচনার মুখে পড়ে ওই বক্তব্য তিনি প্রত্যাহারও করেন। সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি সংসদে বলেন, কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে আমরা বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবো।
তিনি এও বলেন, বক্তব্যটিতে আমি যা বোঝাতে চেয়েছি, তা প্রকাশ হয়নি।
জাপানে মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগেরও বেশি লোক ৬৫ বছরের বেশি বয়সী হওয়ায় তাদের ‘অতি বৃদ্ধ’ জাতির দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ সাল থেকেই দেশটির জনসংখ্যা ধীর গতিতে কমছে।
স্বাস্থ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০১৭ সালে দেশটিতে প্রায় সাড়ে নয় লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করলেও, পূর্ববর্তী যুদ্ধকালীন সময়ে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যান।
জাপানে ১৯৯০ সাল থেকে জন্ম হার বাড়াতে শিশুদের জন্য সেবা, বাসস্থান ব্যবস্থা, জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন নীতি চালু করা হচ্ছে।
তবে দেশটির কাঠামোগত সমস্যার কারণে কর্মজীবী পুরুষ এবং নারী উভয়েই পারিবারিক জীবনের সঙ্গে কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসএ/টিএ