জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের মতে, তেলের অবৈধ চালান, নিষিদ্ধ কয়লা বিক্রিসহ অস্ত্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে উত্তর কোরিয়া।
নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো তাদের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনটি বলছে, উত্তর কোরিয়া ডিক্যাপটেশন স্ট্রাইক প্রতিরোধের লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত সভা এবং পরীক্ষা চালাতে দেশটির বিমানবন্দর ব্যবহারসহ বেশকিছু সামরিক সুবিধা ব্যবহার করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের দ্বিতীয় বৈঠকের আগে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের এ প্রতিবেদনটি দিলো বিশেষজ্ঞ দল। তবে তারা আশা করছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ করতে এ বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে।
২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য জাতিসংঘকে নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
কিন্তু উত্তর কোরিয়া সমুদ্রে জাহাজের একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অবৈধভাবে তেল, জ্বালানি ও কয়লা পাচার অব্যাহত রেখেছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পরও দেশটি পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেলের আমদানি করেছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া প্রতি বছর চার মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং পাঁচ লাখ ব্যারেল পরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ তেল আমদানি, কয়লা রফতানি এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা চোরাচালানের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করছে দেশটি।
আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়া অস্ত্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় এবং ইয়েমেন, লিবিয়া ও সুদানের হুতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে পাঁচটি দেশে কাজ করে। দেশটির কূটনীতিকরা এসব দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নিয়ন্ত্রণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসএ/টিএ