গত মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে দোকানটির তালা ভেঙে এদের উদ্ধার করার পর বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নর্থ সুমাত্রা ইমিগ্রেশন প্রধান মোনাং শিশিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তার বরাত দিয়েই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম খবরটি দিয়েছে।
মোনাং সাংবাদিকদের বলেন, মানবপাচার চক্রের সদস্যরা এই ১৯৩ জনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন কেন্দ্র বালি ও যুগযাকার্তায় নিয়ে এসেছিল। সম্প্রতি অভিযানের খবর পেয়ে তাদের এই দোকানটিতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু দোকানের আশপাশের বাসিন্দারা অস্বাভাবিক শোরগোল শুনে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে তালা ভেঙে এদের উদ্ধার করে।
ইমিগ্রেশনের এ কর্মকর্তা জানান, ১৯৩ জনকে দোকানটিতে সুস্থই পাওয়া যায়। পরে তাদের ইমিগ্রেশনের বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
উদ্ধার হওয়া মাহবুব (৩৯) নামে এক বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের মধ্যে অনেককেই তিন মাস ধরে এভাবে ভাসমান অবস্থায় রেখেছিল দালালরা।
মাহবুব বলেন, ‘আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। দালালরা আমাদের বলেছিল মালয়েশিয়ায় পাঠাবে। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে বালি আসি। তারপর চারদিনের বাস ভ্রমণ শেষে আমাদের এখানে (মেদান) নিয়ে আসা হয়’।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপ নানা সময় ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমালেও নর্থ সুমাত্রা ইমিগ্রেশনের প্রধান জানান, এই ১৯৩ জনের মধ্যে কোনো রোহিঙ্গা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এইচএ/