২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও উত্তেজনায় জড়ায় ক্ষমতাসীন বিজেপি ও কংগ্রেস। গত বছরের জুলাইয়ে এ নিয়ে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখেও পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে এ চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সম্পন্ন হয় নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। কংগ্রেস সভাপতির দাবি, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এই চুক্তিতে হাজার হাজার কোটি রুপি লুটে নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ একবার বলেছিলেন, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের ডাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতীয় অংশীদার হিসেবে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপকে অবশ্যই রাখতে চেয়েছিল ভারতীয় সরকার।
এ বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে বিজেপির সরকার। উড়িয়ে দিয়ে আসছেন নিজেকে ‘জনগণের চৌকিদার’ পরিচয় দিয়ে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী দফতর রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জনগণের স্বার্থে হস্তক্ষেপ করেনি। তারা অনিল আম্বানির জন্য হস্তক্ষেপ করেছিল। রিপোর্ট থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়, চৌকিদারই চোর।
অবশ্য কেন্দ্রীয় সংসদে (লোকসভা) বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বক্তৃতাকালে মোদী বলেন, রাফাল নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যে কথা বলছে কংগ্রেস। প্রথমে বিস্মিত হলেও পরে আমি বুঝতে পারি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিরক্ষাবিষয়ক একটা চুক্তিও সততার সঙ্গে করেনি কংগ্রেস। সব কিছুতেই ওদের কোনো না কোনো মামা-চাচা প্রয়োজন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএ/
** বক্তব্যে তুলোধুনোর পর মোদীকে আলিঙ্গন রাহুলের
** ‘রাহুলকা পুরা খানদান চোর’, বললেন সীতারাম