কেননা, গেলো বছর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বা মাদুরোবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই দেশটির সামরিক শক্তি বামপন্থি এ নেতার পথেই চলছে।
হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, মাদুরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেশের সামরিক বাহিনীকে এবার দূরে সরানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিতে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে চাপ দিচ্ছে শুরু থেকেই। এ নিয়ে সাম্প্রতিককালে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ভেনেজুয়েলা। দেশটির জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট গুয়াইদো তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২৩ জানুয়ারি নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টও’ ঘোষণা দিয়ে দেন গুয়াইদো।
এছাড়া তাকে স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ অন্তত ১২টি দেশ। আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও এর বেশ কিছু মিত্র একই স্বীকৃতি দেয় গুয়াইদোকে। যদিও রাশিয়া, চীনসহ কিছু দেশ এবং সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পাশেই রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোকে আরও চাপে ফেলতে চায় এ সরকার পতনে। সেজন্য মাদুরোর পক্ষে থাকা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলছেন, গুয়াইদো কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সমর্থন পেয়েছেন। তবে নেতৃত্ব এখনও মাদুরোর পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা- ভেনেজুয়েলা সেনাবাহিনীর সদস্যরা একে একে মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেন, খুব সীমিত সংখ্যক সেনা সদস্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের। তবে কি আলোচনা হচ্ছে, বা ফলাফল কী আসছে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানি তিনি। এদিকে, সরকারবিরোধী উত্তাল পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ত্রাণবাহী যান পৌঁছেছে কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে। কিন্তু ভেনেজুয়েলায় প্রবেশমুখী তিয়েনদিতাস সেতু কার্গো দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ মাদুরো প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সেনাবাহিনী এ যান ভেনেজুয়েলায় ঢুকতে দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন>> বিপদে মাদুরো, গুয়াইদোকে ‘প্রেসিডেন্ট’ স্বীকৃতি ৭ দেশের
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
টিএ