রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির নেতৃত্বে উত্তরের বন্দর শহরের ‘আব্বাস বন্দরে’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয়। এসময় রুহানি বলেন, স্থল, আকাশ এবং পানিপথে এখন আত্মনির্ভরশীল ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান।
তিনি বলেন, এসব আত্মরক্ষামূলক শক্তি অন্য কোনো দেশে আক্রমণের জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই ব্যবহার করবো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘ফাতেহ’ মাঝামাঝি শক্তিশালী একটি সাবমেরিন। এটি দেশটির কম শক্তিশালী সাবমেরিন ‘ঘাদির’ এবং অধিকতর শক্তিশালী সাবমেরিন ‘কিলো’র মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।
প্রায় ৬০০ টন ওজনের ওই সাবমেরিনকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি টর্পেডো এবং নৌ-মাইনের মতো সমরাস্ত্রেও শক্তিশালী করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাবমেরিনটি ৩৫ দিন ধরে সচল থেকে সমুদ্রের প্রায় ২০০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারবে।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে যেতে সক্ষম।
এরোস্পেস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, ‘দেজফুল’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পুরানো ক্ষেপণাস্ত্র ‘জোলফাগর’- যেটি ৭০০ কিলোমিটার দূরে যেতে পারতো, তারই নতুন সংযোজন।
রোববার প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, শত্রু পক্ষের দেওয়া চাপ এবং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাই আমাদের আত্মরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তিনি বলেনে, আমাদের যেসব অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন, তা যদি অন্যদের কাছ থেকে কিনতাম, তাহলে হয়তো আমরা নিজেরা এগুলো তৈরি করতে পরতাম না।
অনুষ্ঠানে ইরানের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এসএ/টিএ