ফ্রান্সের এক জেলখানার কয়েদি নিকোলা ককাঁ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২০০৭ সালে তাঁর সঙ্গে একই সেলে থাকা আরেক কয়েদিকে খুন করে তার মাংস খেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নিকোলাসের বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩৯ বছর বয়সী নিকোলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। উল্লেখ্য, খুনের ঘটনাটির সময় নিকোলাস ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে জেলখানায় শাস্তি কাটাচ্ছিলেন। চলতি সপ্তাহের শেষে বিচারের রায় ঘোষণা হতে পারে।
সরকারপক্ষের আইনজীবিরা বলেন, নিকোলাস প্রথমে বদ্রিকে পেটান। তারপর কাঁচি দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করেন । সবশেষে গলায় প্লাস্টিকের ব্যাগ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে বদ্রিকে খুন করেন। এখানেই ঘটনার শেষ নয়। এরপর নিকোলাস নিহত বদ্রির শরীর কেটে পাঁজরের একটি হাঁড় খুলে নেন এবং হৃৎপিন্ড মনে করে ভুলে ফুসফুসের একটি অংশ বের করে আনেন। বিচারের আগে নিকোলা তদন্তকারিদেরকে জানান, বদ্রির আত্মাটি নেওয়ার জন্যই তিনি তাঁর হৃৎপিন্ড খেতে চেয়েছিলেন।
এদিকে তাঁর আইনজীবীরা বলেন, এ ঘটনা ঘটার আগে নিকোলাস বারবার মানসিক সাহায্য চেয়ে এলেও তা শুধু উপেক্ষাই করা হয়েছে। আদালতে নিকোলা বলেন, “আমি ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটাতে পারি একথা জানিয়ে তাঁদের কাছে বার বার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি। এর সবই উপেক্ষা করা হয়েছে। এরপর আমি নিজেই পদক্ষেপ নিই আর তারপর তারা আমাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়”।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ২২ জুন ২০১০
ডিসি/জেএম