পুরোটা বলতে হয়নি, ফোনের ওপাশে থাকা দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ঠিকই বুঝে গেছেন, ঝামেলায় পড়েছে কলদাতা। পিজ্জা ডেলিভারির নামে ঠিকানা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠান ঘটনাস্থলে।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ১৩ নভেম্বরের ওই ঘটনার ফোনকল সম্প্রতি প্রকাশ করেছে অরেগন পুলিশ।
ফোনকল থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন একটি মেয়ে ৯১১-এ ফোন করে পিজ্জা অর্ডার করতে চায়। কল রিসিভ করা পুলিশ কর্মকর্তা টিম টেনেক তাকে কয়েকবার বোঝাতে চান, সে ভুল নম্বরে কল করেছে। কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই মানছিল না। উল্টো বলছিল, ‘আপনি বুঝতে পারছেন না। ’
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি ধরতে পারেন টিম। বুঝতে পারেন, মেয়েটি আসলে পিজ্জা নয়, তার কাছে সাহায্য চাইছে। তাই কৌশলে তিনি মেয়েটির বাড়ির ঠিকানা নিয়ে নেন।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নির্যাতনকারী বাবা সিমন লোপেজকে আটক করে।
মেয়েটির মা জানান, তার স্বামী মদ্যপ হয়ে বাসায় এসে তাকে মারধর শুরু করেন। তাকে দেয়ালের সঙ্গে জোরে ধাক্কা দেন ও হাতে আঘাত করেন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক সহিংসতায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৯১১-এ ফোনকল আসা নতুন কিছু নয়। এক্ষেত্রে কলদাতা সরাসরি বলতে না পারলেও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বুঝতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় হেল্পলাইনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ১৪ বছর ধরে কাজ করা টিম টেনেকও এ বিষয়ে বেশ দক্ষ। তিনি পুলিশ সদস্যদের ওই বাড়িতে যাওয়ার আগে গাড়ির সাইরেন বন্ধ করতে বলেছিলেন, যেন ভুক্তভোগীদের ওপর নির্যাতন না বাড়ে বা অপরাধী পালিয়ে না যায়।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ৯১১ হেল্পলাইনে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ছয় লাখ ফোনকল আসে। এর মধ্যে অনেকেই সরাসরি তাদের দুর্ভোগের কথা বলতে চান না। সেক্ষেত্রে কৌশলে তাদের সহযোগিতা করেন ফোন অপারেটর কর্মকর্তা।
বাংলাদেশেও এধরনের সেবায় ৯৯৯ হটলাইন চালু করেছে সরকার। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা এ নম্বরটিতে ফোন করে যেকোনো সমস্যার কথা জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
একে