রোববার (০১ ডিসেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে।
লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুরকান আল-গজবের অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে স্থানীয় একটি হাসপাতালের বরাত দিয়ে বলা হয়, হাসপাতালে ৯ শিশু ও ২ নারীর মরদেহ আনা হয়েছে।
খলিফা হাফতারের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাত লিবিয়ার মারজুক শহরে এ হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয় খবরে।
এ বছরের নভেম্বরেও সংযুক্ত আরব আমিরাত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি বিস্কুট কারখানায় হামলা চালিয়েছিল। সেখানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন।
খলিফা হাফতারের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাত অব্যাহতভাবে লিবিয়ায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আমিরাত।
এ বছরের এপ্রিলে ইস্টার্ন লিবিয়ান ফোর্সের নেতা খলিফা হাফতার ত্রিপোলি দখলে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। সেসময় তার ত্রিপোলি দখলের স্বপ্ন পূরণ না হলেও এরপর থেকে দেশটিতে সংঘাতের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযান শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে স্পষ্ট দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে লিবিয়া। একটি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলকেন্দ্রীক। মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আরেকটি হলো রাজধানী ত্রিপোলিতে। বৈধ সরকার হিসেবে যাদের রয়েছে জাতিসংঘের স্বীকৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এইচএডি/