সোমবার (২ ডিসেম্বর) দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি শহরের একটি ঘাঁটিতে এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কঙ্গোয় সশস্ত্র বিদ্রোহী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার সাধারণ মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ও দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। তার সূত্র ধরেই সোমবার শান্তিরক্ষী বাহিনীর কঙ্গো ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা চালায়।
সোমবার কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি ফর পিস অপারেশন জ্যা পিরে ল্যাকরক্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিক্ষোভকারীদের শত্রু চিনতে ভুল করা উচিত হবে না।
তিনি বলেন, আমরা যেন আসল শত্রু চিনতে ভুল না করি। বিশেষ উদ্দেশ্যে লজ্জাজনক অনেক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো সহ্য করা হবে না। যে কোনো ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধেই আমরা লড়াই করবো।
নভেম্বরজুড়ে কঙ্গোর উগান্ডা সীমান্তবর্তী বেনি অঞ্চলে উগান্ডাভিত্তিক বিদ্রোহী সংগঠন ‘দ্য অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসে’র (এডিএফ) হামলায় শতাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
কঙ্গোর সামরিক বাহিনী এডিএফের তৎপরতা নস্যাতে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাছে। গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির সামরিক বাহিনী জানায়, তারা এডিএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুকুবওয়াকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) উত্তর কিভু প্রদেশের কুকুতামা গ্রামে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পরই সামরিক বাহিনী এ ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এবি/এইচজে