সোমবার (০২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্পার্ম প্রজাতির ২০ টন ওজনের এ তিমিটির মরদেহ উদ্ধার করেন স্কটিশ মেরিন অ্যানিমেল স্ট্রেন্ডিংস স্কিমের (এসএমএএসএস) কর্মীরা।
উদ্ধারের পর মৃত তিমিটির ময়নাতদন্ত করে এর পাকস্থলি থেকে ২২০ পাউন্ডের (৯৯.৭৯ কেজি) আবর্জনা পাওয়া যায় বলে জানান এসএমএএসএস’র কর্মীরা।
প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাভসসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং রশির বান্ডেল ও মাছ ধরার জালের খণ্ডিত অংশ ইত্যাদি বিভিন্ন আবর্জনা তিমিটির পেটে বলের আকারে জড়িয়ে ছিল বলে জানান উদ্ধারকর্মীরা।
তারা আরো জানান, তিমিটির শারীরিক অবস্থা মারা যাওয়ার মতো ছিল না। তবে পেটে পাওয়া আবর্জনার কারণে এটির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি দলটি।
তিমিটি নরওয়ে ও আজেরসের মাঝের কোথাও থেকে এ আবর্জনা গিলতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা।
এদিকে তিমিটি মৃত্যুর পর এক ফেসবুক বার্তায় উদ্বারকর্মীরা বলেন, ‘পাকস্থলিতে পাওয়া প্লাস্টিকের পরিমাণ নিঃসন্দেহে ভয়াবহ, যা হজমে বাধা দিতে পারে। আবারো সমুদ্রযাত্রার আবর্জনা ও হারিয়ে যাওয়া মাছ ধরার সরঞ্জাম সমুদ্রজীবনের জন্য বিপদের সৃষ্টি করলো। ’
তিমিটির বিশাল আকার হওয়ায় এর ময়নাতদন্ত সমুদ্র সৈকতেই শেষ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে উদ্ধারকর্মীরা একে সৈকতেই মাটিচাপা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এবি/জেডএস