মঙ্গলবার রাতে (৩ ডিসেম্বর) এ বিল পাস হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ ৪০৭ ভোটে বিলটি পাস হয়। এর বিপরীতে পড়ে মাত্র একটি ভোট।
এ বিলে জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত চীনা কর্মকর্তা ও কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছে। উইগুর বন্দিশালা পরিকল্পনার ‘হোতা’ জিনজিয়াং কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চেন কুয়াংগোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয় এতে।
এছাড়া শিগগিরই জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুরদের বন্দি করে রাখা সব ক্যাম্প বন্ধের অনুরোধ জানানো হয় চীনা সরকারের প্রতি। তাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন না করারও আহ্বান জানায় হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।
বিলটি চূড়ান্তভাবে পাস হতে মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ‘সিনেট’ ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এদিকে এ বিল পাসের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার এটিকে ‘বিদ্বেষমূলক’ বলে অভিহিত করেছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চানয়িং বলেন, এটি চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ‘নাক না গলানোর’ আহ্বান জানান তিনি।
এ কূটনীতিক বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সংশোধনের আহ্বান জানাই। উইগুর ইস্যুতে এই বিল যেন আইন হিসেবে অনুমোদিত না হয়।
চীনের বিরুদ্ধে হংকং বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে বিল পাসের কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন করে উইগুর ইস্যুতে এ বিল পাস করলো মার্কিন নিম্নকক্ষ।
২০১৪ সালে জিননিয়ান অঞ্চলে বেশ কিছু হামলা চালানোর অভিযোগে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে উইগুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিশাল অভিযান শুরু করে চীন। পরবর্তীতে তারা প্রায় দশ লাখ উইগুরকে ক্যাম্পে বন্দি করে। শুরুতে এসব ক্যাম্পের কথা অস্বীকার করলেও, পরবর্তীতে চীন এগুলোকে ঐচ্ছিক সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে দাবি করে।
কিন্তু নারীসহ ক্যাম্পের সাবেক বন্দিরা অভিযোগ জানান, এগুলোতে বন্দিদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, মেডিক্যাল নিরীক্ষা ও গণধর্ষণ চালানো হয়। উইগুর ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচজে