বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ন্যাটো জোটের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্মেলনে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে।
ফুটেজে দেখা যায়, জনসন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে প্রশ্ন করেন, আপনার এতো দেরি হলো কেনো? তখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ফোঁড়ন কেটে বলেন, তার দেরি হয়েছে কারণ তাকে তো শুরুতেই ৪০ মিনিট সংবাদ সম্মেলনের পেছনেই ব্যয় করতে হয়। জবাবে ম্যাক্রোঁ মজা করে কিছু একটা বলেন। কিন্তু চারপাশে অনেক শব্দ থাকায় তা ভালো করে শোনা যায়নি। এরপর ট্রুডো ফোঁড়ন কেটে বলেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, তিনি ঘোষণা দিলেন... শুনে তো তার দলের লোকদের মুখ হা হয়ে গেলো!
বিশ্বনেতাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে তাদের কথোপকথন রেকর্ড করা হচ্ছে।
ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি (ট্রুডো) একজন দুমুখো মানুষ। আমি তাকে ভালো লোক বলেই মনে করি কিন্তু ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষায় দুই শতাংশও (জাতীয় আয়ের) ব্যয় করছেন না তিনি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি বলেই বোধয় সেটা তার ভালো লাগেনি।
এছাড়া, ট্রাম্প এ সম্মেলন পরবর্তী একটি সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেন এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরে যান।
অপরদিকে, ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাওয়ায় জনসন বলেন, এটা একদম নিরর্থক কথাবার্তা। এটা কোত্থেকে এলো আমি জানি না।
পরবর্তীকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো জানান, ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে হাসাহাসি করছিলেন না তারা। পরের জি-৭ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে। সেটি নিয়েই কথা বলছিলেন তারা।
ট্রুডো বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো।
অন্যদিকে, এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ওই রুমে এই ভিডিও ধারণ করার কথা নয়। চুরি করে ধারণ করা কোনো ভিডিও নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না আমি।
লন্ডনে এবার ন্যাটো জোটের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে একতা ও সংহতি ধরে রাখার চেষ্টা হিসেবে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। তারা বলেন, নিরাপত্তা জোরদার করতে হলে ভবিষ্যতে একসঙ্গে আগাতে হবে আমাদের। চীন এবং রাশিয়ার হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটো। এটি একটি আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার জোট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এফএম