শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কলকাতায় তৃণমূলের এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাহলেই আমরা এটি গ্রহণ করবো। কিন্তু যদি ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করেন তাহলে আমরা এর বিরোধিতা করবো, প্রয়োজনে লড়াই করবো।
বিভিন্ন দেশ থেকে ভারত গিয়ে যেসব অমুসলিম (হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসী) দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন কিন্তু কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে তৈরি হচ্ছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল বা সিএবি। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে বিলটি।
গত জানুয়ারিতেই লোকসভায় পাস হলেও রাজ্যসভায় গিয়ে আটকে যায় বিতর্কিত এই বিল।
বিরোধীদের দাবি, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মূলত মুসলমানদেরই লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দেশের অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিল পাস করেছে মোদী সরকার।
তিনি বলেন, সিএবি ও এনআরসি মূলত একই মুদ্রার দুই পিঠ। আমরা পশ্চিমবঙ্গে সিএবি প্রয়োগ করতে দেবো না। অন্য দলগুলোর প্রতিও আমার অনুরোধ, সিএবি সমর্থন করবেন না।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োগেরও বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
একে