রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্দি এলাকার ওই কারখানায় আগুন লাগে। এসময় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন।
অন্তত ৩০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।
উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কারখানাটি ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ও একেবারে সরু গলিতে। ওই এলাকায় এ ধরনের অসংখ্য ছোট ছোট কারখানা ও গুদাম রয়েছে।
কারখানাটির ভেতর আটকে পড়া অনেক শ্রমিককে উদ্ধার করে স্থানীয় আরএমএল হাসপাতাল, এলএনজেপি ও হিন্দু রাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া, বেশ কয়েকজনের শরীর দগ্ধ ছিল।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ আরও অনেক নেতা।
ঘটনা তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
একে