এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডেপুটি কমিশনার জন টিমস। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় সেখানে বহু পর্যটক আটকা পড়ার খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তাদের মধ্যে অনেকে বিদেশি পর্যটক বলে জানা গেছে। বর্তমানে উদ্ধার অভিযান চলছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধারও করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরিটি হঠাৎ জেগে উঠলে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এ সময় শতাধিক পর্যটক ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির মাঝারি ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, তা আশপাশের এলাকার জন্য বিপদজনক।
এদিকে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তা সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে। এ সময় বহু পর্যটককে ওই এলাকা থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন ‘গুরুতর’ আহত রয়েছেন। আর মুহূর্তেই ওই এলাকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
স্থানীয় মেয়র নিজেও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ‘আহতের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে স্থানীয়দের ঘরের মধ্যে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, প্রায় শতাধিক লোক অগ্ন্যুৎপাতের সময় ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। অনেকে বের হয়ে এলেও, কিছু লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় কোনো ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল করা হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার এয়ার নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
জেডএস