রোববার (৮ ডিসেম্বর) মিয়ানমার সময় রাত ১২টার দিকে বিশেষ আইনজীবী ও প্রতিনিধি দল নিয়ে হেগে পৌঁছান সু চি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নভেম্বরের শুরুতে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’-এ (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। মামলা করার ক্ষেত্রে গাম্বিয়াকে সমর্থন জানায় ইসলামি দেশগুলোর সংস্থা ওআইসি।
আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ওই মামলার ধারাবাহিক শুনানি চলবে। মিয়ানমার ও গাম্বিয়া দুই দেশের প্রতিনিধি দলই এতে অংশ নেবেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সু চি নিজেই মিয়ানমারের পক্ষে এ মামলায় আইনি মোকাবিলার নেতৃত্ব দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা ইস্যুতে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য মিয়ানমার কোনো শুনানিতে দাঁড়াতে চলেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ববাসীকে মিয়ানমারের অবস্থান জানানোর ক্ষেত্রে এটিকে একটি সুযোগ বলে অভিহিত করছে তারা।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো মামলার চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছাতে সাধারণত বছরের পর বছর সময় নেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস। কিন্তু প্রয়োজনে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ আদালত অন্তর্বর্তী কোনো আদেশ দিতে পারেন।
এদিকে সু চির হেগে গমনকে অভিনন্দন জানিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করে চলেছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এরও আগে কয়েক ধাপে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০১৭ সালের ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘হত্যাযজ্ঞ’ আখ্যা দেয় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তবে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এইচজে