শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩টি আসন। এছাড়া, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) পেয়েছে ৪৮টি আসন এবং অন্য আরও তিনটি দল ৩৪টি আসন।
ভোটের ফলাফল জেনে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, আজকের (নির্বাচনের) রাত লেবার পার্টির জন্য ভীষণ হতাশার। তার দাবি, ব্রেক্সিট সংক্রান্ত যুক্তি-তর্কের আড়ালে হারিয়ে গেছে অন্য বিষয়গুলো। পরবর্তীকালে লেবার পার্টির নেতৃত্বে আর থাকবেন না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বরিস জনসন বলেন, এটি ব্রেক্সিটের পক্ষে বড় ধরনের এক স্বীকৃতি।
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় এবার গড়ে আট শতাংশ কম ভোট পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভরা পেয়েছে গড়ে এক শতাংশ বেশি ভোট। তবে, ছোট দলগুলো অন্য সময়ের চেয়ে বিপুল ভোট পেয়েছে এবার।
নির্বাচনে ভোট দিতে আসায় দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনসন বলেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে চাইনি। কিন্তু এ নির্বাচন ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। নতুন সরকারকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে এ দেশের জনগণ আমাদের নতুন সুযোগ দিয়েছে। জনগণের ভালোর জন্য গণতান্ত্রিক ইচ্ছে অনুযায়ী এদেশে পরিবর্তন আনবে সরকার।
নির্বাচনের এ ফলাফলে চুক্তিসহ নাকি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করা হবে, সেটি নিয়ে সঙ্কটের অবসান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এবার তিনি তার চুক্তি অনুযায়ীই ব্রেক্সিটের উদ্যোগ নেবেন।
এছাড়া, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ৪৮টি আসনে নির্বাচিত হওয়ায় স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ দেশটির নিজের হাতেই থাকবে বলে মনে করছেন স্কটল্যান্ডের বর্তমান ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা ফার্গুসন স্টারজন।
আরও পড়ুন...
***জনসনের জয়ে ট্রাম্পের নজর বাণিজ্যে!
***৪ বাংলাদেশি নারীর নিরঙ্কুশ জয়
***ব্রিটিশ নির্বাচন: টিউলিপ-রুপার জয়
***জনসনের জয়ে মোদীর শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এফএম