শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশনে খালি পড়ে থাকা পাঁচটি ট্রেনে বিক্ষোভকারীরা আগুন দেন বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিক্ষোভকারীরা লালগোলা ছাড়াও মুর্শিদাবাদের পোড়াডাঙ্গা, জঙ্গিপুর ও ফারাক্কা স্টেশন এবং হাওড়ার বাউরিয়া ও নালপুর রেলস্টেশন অবরোধ করেন।
বিক্ষোভের ফলে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে সংযোগকারী ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩৪ অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। সড়কে চলতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ১৫টি বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে তাতে আগুন দেন।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গভর্নর জগদীপ ধনকর সহিংসতা বন্ধ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, দয়া করে রেল ও সড়কপথ বন্ধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যারা ভোগান্তি সৃষ্টি করছেন, বাসে আগুন দিচ্ছেন, জনগণের সম্পদের ক্ষতি করছেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ ডিসেম্বর পাস হওয়া আইনটির সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম। আইনটির প্রতিবাদে ডিসেম্বরজুড়ে রাজ্যে ধারাবাহিক র্যালির আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে তার নেতৃত্বের তৃণমূল কংগ্রেস।
নতুন পাস হওয়া আইনে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এবি