সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) একাধিক টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সহিংস বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক ও খুবই পীড়াদায়ক। বিতর্ক, আলোচনা ও ভিন্নমত গণতন্ত্রের আবশ্যক অংশ।
তিনি বলেন, এই সময় ভারতের উন্নয়ন ও প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে গরিব, নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষের জন্য আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই স্বার্থানেষী মহলকে আমাদের বিভক্ত করা ও সমস্যা তৈরি করতে দিতে পারি না।
এর আগে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিল্লিতে পুলিশ ও জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও (এএমইউ) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জামিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাতভর অবস্থান করেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিন বিক্ষোভ হয়েছে লক্ষ্নৌর নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ভেতর থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল-জুতা নিক্ষেপ করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
একে