ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে কমল হাসান, সরকারের কড়া সমালোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে কমল হাসান, সরকারের কড়া সমালোচনা কমল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংসতায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ কমল হাসান। দিল্লি, আসাম ও আলিগড়ে ছাত্রদের ওপর চরম নির্যাতন হয়েছে জানিয়ে এ ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক বক্তব্যে ছাত্রআন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণদের রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন হওয়া ও প্রশ্ন করায় কোনো ভুল নেই। কিন্তু যখন তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তার মানে গণতন্ত্র বিপদজনক আইসিইউতে আছে।

কমল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর একেকটি আঘাত মানে গণতন্ত্রের দেওয়া স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এসব আঘাত আসছে জবাবহীনতা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় থেকে। এই ইস্যুটি রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে রাজনীতি ও দলের ঊর্ধ্বে। এটা একটা জাতীয় ইস্যু।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়ে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে কমল হাসানের দল মাক্কাল নীধি মাইয়াম (এমএনএম)। দিল্লি, আসাম ও আলিগড়ের ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করেছে দলটি। পাশাপাশি, এ আইনের প্রতিবাদ না করায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল এআইএডিমএমকে’রও কঠোর সমালোচনা করেছেন তারা।

অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া এ তারকা বলেন, তারা (এআইএডিমএমকে) প্রভুদের প্রতি অনুগত। আপনারা জানেন, কারা সেই প্রভু।

দেশটিতে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল মাত্র চারদিনের মধ্যে রাজ্যসভায় পাস ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে আইনে পরিণত করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর কারণ কী, তা নিয়েও প্রশ্ন রাখেন সুপারস্টার কমল হাসান।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। পশ্চিমবঙ্গে চলছে সপ্তাখানেক ধরে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে অন্য রাজ্যের ছাত্ররাও।  

এদিন দিল্লিতে পুলিশ ও জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও (এএমইউ) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাতভর অবস্থান করেছেন।  

সোমবারও (১৬ ডিসেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  

এদিন বিক্ষোভ হয়েছে লক্ষ্নৌর নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ভেতর থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল-জুতা নিক্ষেপ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।