বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সাবিনা লি ও কানাডার অন্টারিওর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী সুসান বার্টেলসের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানায় মার্কিন সংবাদপত্র দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস।
হাইতিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটির কাছের আড়াই হাজার নাগরিকের সাক্ষাতকারের ওপর ভিত্তি করে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
গবেষণায় জানানো হয়, হাইতিতে ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অবস্থান করা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের হাতে ১১ বছরের শিশুও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়েছে। দায়িত্ব শেষে শান্তিরক্ষীদের দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিপীড়নের শিকার এ মায়েরা পরে একাকিই সন্তানকে লালন-পালনে বাধ্য হন বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।
সাক্ষাৎকারে হাইতির এক নাগরিক বলেন, তারা আপনার হাতে কিছু পয়সা ধরিয়ে আপনার গর্ভে এক শিশু দিয়ে যাবে।
হাইতিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ফরাসি ভাষায় সংক্ষেপে ‘মিনুস্তা’ নামে পরিচিত। এ নাম অনুসারে ফেলে যাওয়া শিশুদের ‘পেটি মিনুস্তা’ বা ছোট মিনুস্তা বলে ডাকা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকার দেওয়া ২৫৬ জন বলছেন, ১৩টি দেশের সামরিক-বেসামরিক সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করতে হাইতিতে এলেও মূলত উরুগুয়ে ও ব্রাজিল থেকে আসা সদস্যরাই হাইতির নারীদের গর্ভবতী করেছে।
সাক্ষাৎকারে কিছু নারী তাদের ওপর শান্তিরক্ষীদের যৌন নির্যাতনের কথা জানালেও অনেকেই সামান্য অর্থ বা খাবারের বিনিময়ে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।
গবেষকদলের সদস্য সাবিনা লি জানান, শান্তিরক্ষী মিশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোরই উচিত এখন এ মা ও সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়া।
তিনি বলেন, এটি জাতিসংঘের সমস্যা নয়। এটি ব্রাজিলের কিংবা উরুগুয়ে সেনাবাহিনীর সমস্যা। জাতিসংঘও সদস্য দেশগুলোর বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কোনো উপায় বের করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এবি