আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নতুন করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির জনগণ। দিল্লি জামে মসজিদ থেকে যন্তর মন্তরের দিকে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়।
দিল্লি গেটে থামতে বাধ্য হন বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এছাড়া, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন।
পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠলে দিল্লির দরিয়াগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের বাইরে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষোভকারীদের রুখতে দিল্লি মেট্রোর ১৭টি স্টেশন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দিল্লি জামে মসজিদের গেট থেকে ভীম আর্মির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করে পুলিশ। মসজিদ থেকে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে হাজারো মানুষ স্লোগান দেন এবং পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এদিন চন্দ্রশেখরকে সংবিধানের একটি অনুলিপি হাতে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। আটক করা হলেও পরবর্তীকালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন দিল্লির লালকেল্লা এলাকা থেকে অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। লালকেল্লা এলাকায় লোক জমায়েত নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এফএম