ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিদেশি সৈন্য হটাতে ইরাকি পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
বিদেশি সৈন্য হটাতে ইরাকি পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

ঢাকা: সব বিদেশি সৈন্যকে ইরাক ছেড়ে যেতে একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। বিদেশি সৈন্যরা যাতে ইরাকের আকাশ, স্থল এবং জলসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয় ওই প্রস্তাবে।

কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার তিনদিন পর রোববার (৫ জানুয়ারি) ইরাকের সংসদে এ প্রস্তাব ওঠে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি।

এসময় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান মাহদি আল মুহান্দিসসহ আরও ৬ জন নিহত হয়েছিলেন।

২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে দেশটিতে ঘাঁটি গেড়ে আছে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য। ইরাকে বর্তমানে আমেরিকার প্রায় ৫ হাজার সৈন্য রয়েছে।

মিত্র হিসেবে প্রতিবেশি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র সংকটে বেকায়দায় রয়েছে ইরাক।

ইরাকে থাকা মার্কিন সৈন্যরা সুন্নি মুসলিম ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতা করছে। তবে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং সহযোগী হিসেবে মার্কিন সৈন্যদের ইরাকে থাকার শর্ত ভঙ্গ হিসেবে দেখছে ইরাক সরকার।

অন্যদিকে আইএস বিরোধী লড়াইয়ে ইরাকের বিভিন্ন শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপকে সহায়তা করছে ইরান। ইরানের জনগণের বড় একটা অংশ ইরানের প্রতি সহানুভতিশীল, যারা মার্কিনীদের হাতে কাসেম সোলাইমানি খুনের ঘটনায় মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়েছে।  এছাড়া ওই সব মিলিশিয়া গ্রুপগুলো এ খুনের প্রতিশোধ নিতে চায়।  

সোলায়মানি হত্যার পর থেকে ইরানে প্রতিশোধের আগুণ বহুগুণে বেড়েছে, এতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

পাস হওয়া রেজ্যুলেশনে যা বলা হয়েছে
রেজুলেশন পাসের আগে ইরাকের তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি পার্লামেন্টে দেওয়া তার বক্তব্যে দেশটি থেকে বিদেশি সৈন্যদের দ্রুত চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের দ্রুত চলে যাওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুস্থ ও সঠিক সম্পর্ক রক্ষায় ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির ইতি ঘটানো প্রয়োজন।

ইরাকের পার্লামেন্টে পাস হওয়া রেজুলেশনে ইসলামি স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন বাহিনীর সহায়তার অনুরোধ বাতিল করতে বলা হয়।

কোনো অবস্থাতেই বিদেশি সৈন্যরা যাতে ইরাকের স্থল, জল এবং আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয় পাস হওয়া এ প্রস্তাবে।

রেজ্যুলেশনে কাসেম সোলাইমানি ও  মাহদি আল মুহান্দিসসহ আরও ৬ জন হত্যা করে ইরাকি নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ করতে বলা হয় ইরাকি সরকারকে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০/আপডেটেড ২৩৫৯ ঘণ্টা
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।