সংস্থাগুলো (জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) কারণ হিসেবে বলছে, করানো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের চেষ্টা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দেশের সরকারই তাদের দেশে লকডাউন, কোয়ারেন্টিনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় আশঙ্কার কথা জানিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কিউ ডংইউ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসু এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিচালক রবার্ট এজভেডো একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করেন। খবর আল জাজিরার।
বিবৃতিতে বলা হয়, খাদ্যপণ্যের সহজ লভ্যের অনিশ্চয়তা রপ্তানি বিধি-নিষেধগুলো বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউনের মধ্যে প্রতিটি প্রচেষ্টা অবশ্যই এমনভবে নিতে হবে যেন অবাধ বাণিজ্য প্রবাহ যতটা সম্ভব নিশ্চিত করা যায়, বিশেষত খাদ্য ঘাটতি এড়ানো যায়।
এতে আরও বলা হয়, দেশগুলো যখন তাদের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের সুরক্ষায় কাজ করছে, তখন বাণিজ্য সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করবে না; সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থা এবং চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা চললে কৃষিশ্রমের সহজলভ্যতার অভাব ও বাজারে খাদ্যপণ্য না পৌঁছানোর কারণে কৃষির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হুমকিতে পড়বে।
এছাড়া শীর্ষস্থানীয় এই কর্মকর্তারা খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সুরক্ষা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। একইসঙ্গে জানান, সংকট এড়াতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি/