ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ধর্মান্ধতার জন্য পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
ধর্মান্ধতার জন্য পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি পাকিস্তানের পতাকা

পাকিস্তান এখনও দখলকৃত বেলুচিস্তান, সিন্ধু ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় ধর্মীয় উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্ত বেলুচিস্তান আন্দোলনের (এফবিএম) মুখপাত্র জামশাদ বালুচ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর করাচিতে পাকিস্তানি সেনার ধর্মীয় পাদাতিক সৈনিকরা মেশিনগান নিয়ে সজ্জিত হয়ে নিখোঁজ বেলুচদের পরিবারের সদস্যদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আক্রমণ করে।

ওই হামলায় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। হামলার ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র শাখা সিপাহ-ই-সাহাবার ধর্মান্ধ সদস্যরা বালুচ ও সিন্ধি মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নির্লজ্জভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে।

এফবিএম মুখপাত্র বলেন, বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থী শক্তির মাতৃ সংগঠন জামায়াতে ইসলামী গত ১২ সেপ্টেম্বর করাচিতে একটি সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশে ইসলামের অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়, পাকিস্তান বালুচ, সিন্ধি এবং পশতুনের সম্পদের ওপর পাঞ্জাবের একচেটিয়া দখদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় অঞ্চলগুলোতে ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রচারের নীতি ত্যাগ করেনি।

প্যারিস ভিত্তিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) প্রতি আহ্বান জানিয়ে এফবিএম মুখপাত্র বলেন, বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ জনগণের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে ধর্মীয় সহিংসতার তত্পরতা চালিয়েছে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

পাকিস্তানের অতীত কৃতকর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সকে (এফএটিএফ) অবিলম্বে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানান জামশাদ বালুচ। কারণ, পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ধর্মীয় উগ্রবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘের দায়িত্বশীল সদস্য হয়েও পাকিস্তান কেন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সকে অনুরোধ জানান ফ্রি বেলুচিস্তান মুভমেন্টের মুখপাত্র।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার আয় করছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং এফএটিএফ কালো টাকার এই উত্সকে অগ্রাহ্য করছে। কারণ, পাকিস্তান মাদক চোরাচালানের এই অর্থ ইউরোপ, আমেরিকা এবং উপসাগরীয় দেশগুলিতে প্রবাসী নাগরিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স হিসাবে দেখিয়ে প্রতারণা করছে।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।