ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চীনের জাতীয় দিবসে বিশ্বের ৫০ শহরে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২০
চীনের জাতীয় দিবসে বিশ্বের ৫০ শহরে বিক্ষোভ বিক্ষোভ কর্মসূচি, ছবি: সংগৃহীত

চীনের ৭১তম জাতীয় দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ আরও বেশি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্যাতিতদের অংশগ্রহণে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়াসহ মহাদেশ এবং শহরগুলোতে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, প্রতিবছরের ০১ অক্টোবর জাতীয় দিবস উদযাপন করে চীন। এবার সেটির ৭১তম দিবস। সেদিন চীনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরই আন্দোলন শুরু হয় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শহরে। এরইমধ্যে ২৫টি দেশের ৫০টি শহরে ‘জাতীয় দিবসের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

টরেন্টোতে দেখা গেছে, চীনা জাতীয় দিবসের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ ও মিছিল। সেটি শুরু হয় সিটি হলে চীনা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের পরেই। টরেন্টোর মেয়র জন টরি ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির পরপরই বিক্ষোভ শুরু হলে টরেন্টোতে অন্টারিও আইনসভা এবং কনসাল জেনারেল দ্বারা নির্ধারিত পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছিল।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ চীনের বেশ কয়েকটির ইস্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে টরন্টোর চীনা কনস্যুলেটের সামনে প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হংকং, তিব্বত, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া এবং তাইওয়ানের লোকজন ছিলেন।

একইসঙ্গে বিক্ষোভ শুরু হয় যুক্তরাজ্যেও। দেশটির চীনা দূতাবাসে জাতীয় দিবসের একটি আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেই প্রতিবাদ শুরু করে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার সম্প্রদায়গুলো।

এদিকে, তিব্বতি, উইগুর, মঙ্গোলীয়, হংকং এবং তাইওয়ানের অধিবাসীদের ওপর চীনের নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে শনিবার (০৩ অক্টোবর) টোকিওতেও প্রায় তিন হাজার লোক জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভে ৬০০ উইগুর মুসলমান, দুই হাজার হংকংবাসী এবং ৬০০ তিব্বতি ও মঙ্গোলীয় অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনকারীরা টোকিওর তিনটি ভিন্ন জায়গা থেকে মূল ভেন্যুতে এসে জড়ো হন। তিব্বতিরা হিবিয়া পার্ক এবং হংকংয়ের শরণার্থীরা শিবুয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলে গিয়ে যোগ দেন।

বিক্ষোভে হংকংয়ে চীনের চাপিয়ে দেওয়া কঠোর নিরাপত্তা আইন, মঙ্গোলিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া মান্দারিন ভাষা, তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ এবং তাইওয়ানে চীনের আগ্রাসী ও ভীতি প্রদর্শনমূলক কার্যকলাপের সমালোচনা করে স্লোগান দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।